আশুলিয়া প্রতিদিন ঃ
ঢাকার সাভার ডি ইপিজেড এর কাস্টমসের এসি নুরুন নাহার সিদ্দিকার দূর্ণীতি ও কাজে অবহেলায় তাকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিএনএফ)।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকার সময় কাস্টমস অফিসে সামনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ টি প্রায় তিনটা পর্যন্ত চলে।
এসময় আন্দোলনরত( সিএনএফ) এর সদস্যরা বলেন ঢাকার সাভার ইপিজেড এর দায়িত্বরত এসি নুরুন নাহার সিদ্দিকা সরকারি চাকুরী করলেও তিনি সময় মতো অফিসে আসেন না।
তার ইচ্ছে মতোই চলে সকল কার্যক্রম। তিনি প্রায় প্রতিনিয়তই দুপুর ১২ টার সময় আসেন অফিসে।
এতে করে আমাদের কাজের বিঘ্ন ঘটে, শুধু তাই নয় মোটা অংকের টাকা না দিলে ফাইল পাশ হয় না। তিনি তার ড্রাইভার আসাদ উল্লাহ এর মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্য করেন বলে জানান আন্দোলন কারি সদস্যরা।
।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান শুধু ড্রাইভারই নয়, ফাইল প্রতি ৩ শত টাকা দিতে হয় আরিফ ও কেল্যার্ক রনিকে এরা অফিস অন্যান্য টাকাও গ্রহণ করেন। এদের সকল টাকা জমা হয় এসি নুরুন নাহারের পিএস সাগর নামে এক ব্যক্তির কাছে।
এছাড়াও ডিইপিজেডের কাস্টমস সহকারী কমিশনার এর সরকারি গাড়ী ব্যবহারে নেই কোন নিয়ম নিতি, গাড়ি চালক আসাদ উল্লাহর ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন সরকারী এই গাড়ি এমনটাও বলেছেন অনেকে।
আরো জানা যায় কাস্টমস এর রাজস্ব কর্মকর্তার এসি নুরুন নাহারের নাম ভাঙ্গিয়ে ইপিজেডের সকল প্রতিষ্ঠান ও ঝুট ব্যবসায়ীদেরকে জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ড্রাইভার আসাদ উল্লাহ ।
ইপিজেড ভূক্ত সকল প্রতিষ্ঠান ও ঝুট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিইপিজেড এ তার মনোনিত বহিরাগতদের মৌখিকভাবে নিয়োগ দিয়েছে ডিইপিজেড কাস্টমস অফিসে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঢাকা ইপিজেড এ যে সমস্ত বহিরাগতরা কাস্টমসের সহযোগিতার কাজ করতো তাদেরকে বাদ দিয়ে পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসাদ উল্লাহ এর নিজের আত্মীয় ও অন্যদেরকে সহ মোট ৫ (পাঁচ) জনকে ওই সকল কর্মস্থলে (ডিইপিজেড কাস্টমসে) কাজে যোগদান করান আসাদ উল্লাহ ,তাদের কাজ থেকেও নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা।
সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাবদ যে টাকা বরাদ্দ থাকে সেই টাকা থেকে দৈনিক ৩ (তিন) হাজার টাকা আদায় করে দিতে হয় ড্রাইভারকে আসাদ উল্লাহ কে?।
আসাদ উল্লাহ সহকারী কমিশনার এর গাড়িচালক হওয়ায় পুরো কাস্টমস অফিসারদেরকে নিয়ন্ত্রন করে থাকেন তিনি ।
খোজ নিয়ে জানা যায় আসাদ উল্লাহ এর মিরপুর ১২ নাম্বারে ৩৬ নং রোডের ত ব্লকে ৭ নং প্লটে আট তলা ভবন রয়েছে।
এর পুর্ব পাশেই রয়েছে আরও একটি তিন তলা ভবন। এছাড়াও, ঢাকা, সাভার, হেমায়েতপুরে রয়েছে তার নামে ও বেনামে অসংখ্য জমি।
যদি আসাদ উল্লাহ একজন কাস্টমস এর গাড়ি চালক হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়, তাহলে একজন এসির কত টাকার সম্পদ রয়েছে, আর তিনি বা কি পরিমাণ দূর্ণীতি করেন সুতরাং আপনারাই বোঝেন ? বলে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
এ বিষয়ে ঢাকায় সাভার ইপিজেড কাস্টমসের দায়িত্ব সহকারি কমিশনার নুরুন নাহার সিদ্দিকার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উক্ত বিষয়ে বক্তব্য দিতে নারাজ।
এদিকে আন্দোলনরত সিএন এফ এর নীরিহ ব্যবসায়ীদের দাবি ঢাকা ইপিজেড কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসকল দূর্ণীতি বাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করে কাস্টমসের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিবেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের।