জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নিজেদের অজান্তেই ফেঁসে যাচ্ছেন ইন্টারনেটের ‘অপরাধের দুনিয়া’ ডার্ক ওয়েবে। একবার ফেঁসে গেলে চাইলেও আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না ভুক্তভোগী। সারাক্ষণ রাখা হয় নজরদারিতে, দেওয়া হয় নানা হুমকি।
সম্প্রতি টেলিগ্রাম নিয়ে করা বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন হাড় হিম করা তথ্য।
প্রতিবেদনটা এরকম, ‘একটি গল্প নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ৯ মাস আগে নিজেকে মাদক বিক্রি করার একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত করি। এরপর আমাকে একটি হ্যাকিং গ্রুপ এবং ক্রেডিট কার্ড চুরি করার গ্রুপে যুক্ত করা হয়।’
‘আমি বুঝতে পারলাম কোনো কিছু করা ছাড়াই আমাকে টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত করা যায়। এজন্য পরিস্থিতি দেখতে টেলিগ্রাম সেটিং পরিবর্তন করলাম না। এভাবে কয়েক মাসের মধ্যে আমাকে ভিন্ন ভিন্ন ৮২টি গ্রুপে যুক্ত করা হয়।
এরপর টেলিগ্রাম সেটিং বন্ধ করে দেই। কিন্তু এখন প্রতি মুহূর্তে অবৈধ গ্রুপ থেকে শত শত হুমকির ম্যাসেজ দেওয়া হচ্ছে। ’
টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী পাবেল দুরভকে ফ্রান্সের প্যারিসের একটি বিমানবন্দর থেকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে। টেলিগ্রামের অবৈধ লেনদেন, মাদক পাচার, প্রতারণাসহ শিশুদের যৌন নিগ্রহের ছবি প্রচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ইনটেল৪৭১ বলেছে, টেলিগ্রামে বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়। যেটি ডাক ওয়েব সার্ভিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যাদের এ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই তারাই অপরাধের জন্য টেলিগ্রামকে বেছে নিয়েছে।