সম্প্রতি বন্যাদুর্গত এলাকায় নিজ হাতে পানিবন্দি অন্তত ৩৫০ জনের বেশি মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. বায়েজিদ বোস্তামী।
সদ্য কমিশন লাভ করা সেনাবাহিনীর এই অফিসার কখনো কাঁধে করে বন্যাপীড়িত শিশুকে উদ্ধার করেন, আবার কখনো কোলে করে বৃদ্ধা মাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। আবার তীব্র পানির স্রোত ও তলিয়ে যাওয়া ভূখণ্ড থেকে উদ্ধার করেছেন অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা অন্তঃসত্ত্বা মাকেও। তার এমন সাহসিকতা তাক লাগিয়েছে সবাইকে।
বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে তরুণ সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, মানুষের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি, এর বাইরে কিছু নয়। জীবনের ঝুঁকি সব জায়গাতেই আছে। আর ঝুঁকির কথা চিন্তা করেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে ২০২২ সালে বায়েজিদের বাবা মো. কামাল হোসেন (পরিদর্শক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, আটপাড়া) মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তার ছেলেকে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হয়ে দেশ সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার উপদেশ দিয়ে যান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত এই অফিসার গত ২০ জুন কুমিল্লা সেনানিবাসে অবস্থিত একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে যোগদান করেন। এরপর তিনি বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হন। এ সময় তার ইউনিট অধিনায়ক তাকে সাঁতারের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার নির্দেশ দেন। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও ইউনিট অধিনায়কের নির্দেশে তরুণ লেফটেন্যান্ট বায়েজিদ বন্যায় আটকে পড়া মানুষের উদ্ধারে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন।