চীনা সীমান্তের কাছে জাতিগত সশস্ত্র বাহিনীর দখল করা শান রাজ্যের একটি অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত (আইডিপি) শিবিরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৯ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ও পরের দিন ভোরে এসব হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও ছিল।
টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) জানায়, উত্তর শান রাজ্যের মুক্ত শহরগুলোতে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ভারী বোমা ফেলে যুদ্ধাপরাধ করছে জান্তা বাহিনী। শুক্রবার ভোর ১ টা ৩৫ মিনিটে জান্তার একটি যুদ্ধবিমান চীনা সীমান্তের কাছের নামখাম শহরে দুটি ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলে, যা বেসামরিক বাড়িঘর ও একটি হলঘরে আঘাত হানে।
এ হামলায় দুই শিশু ও একজন অন্তঃস্বত্ত্বা নারীসহ ১১ জন বেসামরিক নিহত হন এবং আরও ১১ জন আহত হন। এছাড়া, ছয়টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় বলে টিএনএলএ জানিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে টিএনএলএ শহরটি মুক্ত করে এবং এটি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের পরিচালিত অপারেশন ১০২৭ এর অংশ ছিল।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে উত্তর শান রাজ্যের মানতং শহরেও একই ধরনের বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। দুটি ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলে বেশ কিছু বাড়ি ও একটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ধ্বংস করা হয়। ওই হামলায় একজন বাসিন্দা আহত হন।
বৃহস্পতিবার রাতে শান রাজ্যের দক্ষিণে মোবাই শহরের পশ্চিমে অবস্থিত ব্যাংকক আইডিপি শিবিরে জান্তা বাহিনীর আরেকটি বিমান হামলায় আটজন নিহত হন, যাদের মধ্যে ছয়জন শিশু ছিল। এ ঘটনায় আরও অনেকেই আহত হন বলে ক্যারেনি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ প্রগ্রেসিভ ক্যারেনি পিপল ফোর্স (পিকেপিএফ) জানিয়েছে।
আইডিপি শিবিরে প্রায় ৬০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, যাদের জন্য ১৬০টিরও বেশি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। হামলার পর একজন বেসামরিক নিখোঁজ রয়েছে।
সূত্র: দ্য ইরাবতী
Leave a Reply