আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং লিডার আফজাল হোসেন ও তার সহযোগী তাহসান মাহমুদ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (অক্টোবর ১৯) দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান গ্রেপ্তার ওই দুই জনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও গুরুতর রক্তাক্ত জখম, চুরি, চাঁদা দাবীসহ হুমকি প্রদান করার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা দুজনই সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- আফজাল হোসেন (২৯) ও মো. তাহসান মাহমুদ (১৯)। তারা দুজনই সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা।
অসামিরা হলেন- আফজাল হোসেন (২৯), মো. তাহসান মাহমুদ (১৯), মো. মুন্না (২২), রিয়াদ হাসান (২১), নাজমুল (২১), মো. তামিম (১৮)। তারা সবাই আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রসহ চলাফেরা করে নিরীহ লোকজনকে আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে গাজীরচট এলাকায় একটি মাঠে ৪-৫ দিন ধরে মেলা চলছে। সেখানেই বাদির ছেলে সায়মন ইসলাম সিনিন (১৭) মেলার ভেতর ঘুরাঘুরি করছিল। একপর্যায়ে সে সেখানে নৌকা ঘুরানো খেলা দেখছিল। এ সময় আসামিরা তাকে ঘিরে ধরে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে কিসের চাঁদা জিজ্ঞেস করতেই তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ১ নম্বর আসামি একপর্যায়ে সায়মনের পেটে ছুরিকাঘাত করে, এতে তার পেটের ভুরি বেরিয়ে আসে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ও তার পকেটে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে সায়মনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশবাড়ী এলাকার হাবিব ক্লিনিক ও পরবর্তীতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
Leave a Reply